Card Transaction Lifecycle

১-খ) কার্ড ট্রানজ্যাকশনের লাইফসাইকেল

Post type:

Beginning

Audiance skillset:

No skill set is required

আগের পোস্টে যেই কী-ওয়ার্ড গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলোর সচিত্র ব্যাখ্যা করব এখানে।

ট্রানজ্যাকশন শুরু

  • কার্ডধারী (Cardholder) তার কার্ডটি POS মেশিনে (দোকান/মার্চেন্ট) বা ATM মেশিনে সোয়াইপ/ইনসার্ট/ট্যাপ করে।
  • POS/ATM মেশিন কার্ডের তথ্য (PAN, CVV, মেয়াদ, EMV চিপ ডেটা ইত্যাদি) এবং ট্রানজ্যাকশনের বিবরণ (টাকার পরিমাণ, মার্চেন্ট আইডি ইত্যাদি) সংগ্রহ করে।

মার্চেন্ট থেকে অ্যাকুয়ারিং ব্যাংক

  • POS মেশিন বা ATM সংযুক্ত থাকে পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে (ই-কমার্সের ক্ষেত্রে) ।
  • পেমেন্ট গেটওয়ে (ই-কমার্সে) ট্রানজ্যাকশনটি এনক্রিপ্ট করে প্রসেসরের কাছে পাঠায়।
  • পেমেন্ট প্রসেসর: সাধারণত অ্যাকুয়ারারের হয়ে প্রযুক্তিগতভাবে ট্রানজ্যাকশন রাউট ও ম্যানেজ করে।
  • মার্চেন্ট অ্যাকুয়ারিং ব্যাংক (Acquirer): মার্চেন্টের ব্যাংক, যারা মার্চেন্টের পক্ষ থেকে কার্ড পেমেন্ট গ্রহণ করে।

কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রাউটিং

  • পেমেন্ট প্রসেসর অনুমোদনের অনুরোধ পাঠায় সংশ্লিষ্ট কার্ড নেটওয়ার্কে (Visa, Mastercard, AmEx, Discover ইত্যাদি)।
  • কার্ড নেটওয়ার্ক অ্যাকুয়ারার এবং ইস্যুয়ারের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে:
    • ট্রানজ্যাকশন মেসেজগুলোকে স্ট্যান্ডার্ডাইজ করে (ISO 8583)।
    • কার্ডের BIN (প্রথম ৬–৮ সংখ্যা) অনুযায়ী সঠিক ইস্যুইং ব্যাংক/প্রসেসরের কাছে রাউট করে।

ইস্যুয়ার সাইড (অথরাইজেশন চেক)

  • ট্রানজ্যাকশনের অনুরোধ প্রথমে অথরাইজেশন ইন্জিনে যায় যা ইস্যুইং প্রসেসর-এর সামনের ইন্টারফেস ।
  • অথরাইজেশন ইন্জিন যাচাই করে:
    • কার্ড বৈধ কিনা (সক্রিয়, ব্লক/চুরি হয়নি)।
    • যথেষ্ট টাকা আছে কিনা / ক্রেডিট লিমিট আছে কিনা
    • প্রতারণা বা ঝুঁকি চেক (অস্বাভাবিক লেনদেন প্যাটার্ন আছে কিনা)।
    • PIN/3DS/OTP যাচাই (যদি প্রয়োজন হয়)।
  • ইস্যুয়ার একটি অথরাইজেশন রেসপন্স (অনুমোদিত/প্রত্যাখ্যাত) পাঠায়।

মার্চেন্টের কাছে রেসপন্স ফেরত

  • রেসপন্সটি একই পথ ধরে ফিরে যায়:
    ইস্যুয়ার কার্ড নেটওয়ার্ক পেমেন্ট প্রসেসর / অ্যাকুয়ারার POS/পেমেন্ট গেটওয়ে মার্চেন্ট
  • POS/ATM-এ গ্রাহক সাথে সাথে Approved (অনুমোদিত) বা Declined (প্রত্যাখ্যাত) মেসেজ দেখতে পান।

 পুরো প্রক্রিয়াটি সাধারণত ১–৩ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হয়।

উপরের চিত্রে একটি সরল প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আরও অনেক রকম পরিস্থিতি হতে পারে।

যেমন নিচের চিত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে ২, পেমেন্ট প্রসেসর ২ এবং EBL ব্যাংক একই প্রতিষ্ঠান। তাই এদেরকে Acquirer বা Acquiring Bank বা Acquiring Processor বলা যায়।

কিন্তু SSLCommerz েযটা পেমেন্ট গেটওয়ে ১, পেমেন্ট প্রসেসর ১ হিসেবে কাজ করছে, একে টাকা আদান প্রদানের জন্য সোনালী ব্যাংক (Acquiring Bank) এর সাথে সম্পৃক্ততা রাখতে হয়েছে। আবার পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার যেটি SSLCommerz ্এর উপরে থার্ড পাটি সার্ভিস, সেটিও সোনালী ব্যাংক (Acquiring Bank) উপর নির্ভরশীল। এইসব প্রতিষ্টানের গ্রহাকদের সোনালী ব্যাংক একটি একাউন্ট খুলতে হয় যার নাম Merchant Account.

একইভাবে ইস্যুইং প্রসেসর ৩ এবং MTB ব্যাংক একই প্রতিষ্ঠান। তাই এদেরকে Issuer বা Issuing Bank বা Issuing Processor বলা যায়।
যেহেতু ইস্যুইং প্রসেসর ১ এবং ইস্যুইং সার্ভিস প্রোভাইডার সরাসরি ব্যাংক প্রতিষ্ঠান নয়, এদেরকে টাকা আদান প্রদানের জন্য ডাচবংলা ব্যাংক এর সাথে সম্পৃক্ততা রাখতে হয়েছে।

অপর দিকে MTB ব্যাংক / ইস্যুইং প্রসেসর ৩ সরাসরি কার্ড নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত কিন্তু City ব্যাংক / ইস্যুইং প্রসেসর ২ এবং ইস্যুইং প্রসেসর ১ সরাসরি যুক্ত না হয়ে, পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে কার্ড নেটওয়ার্কে যুক্ত। পেমেন্ট সুইচ নিয়ে আগামীতে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব।

বিদ্রঃ এখানে বুঝানোর জন্য বিভিন্ন ব্যাংক এবং প্রতিষ্টানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এরকম নাও হতে পারে।

Share this Post: